মাথায় পাকা চুলের সংখ্যা বাড়ছে? রং করতে না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি ‘জাদু তেল’
চুল পাকলেই কালো করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন অনেকেই। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী থেকে শুরু করে হেনা, চুলের রং ফেরাতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। সমস্যার সমধান কিন্তু লুকিয়ে বাড়িতে বানানো এক তেলেই।
পাকা চুলের সমস্যায় হয়রান? ছবি: শাটারস্টক
দক্ষিণী খাবারে কারিপাতার আধিক্য বেশি। চানাচুরের মধ্যেও এই পাতা থাকে। ফোড়ন হিসাবে ডাল, ঝোল, ঝালেও কারিপাতা দেওয়া হয়। কিন্তু সমাজমাধ্যম বলছে, তরুণ প্রজন্মের কাছে এই পাতাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চুলের জন্য! কারিপাতা হল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো নানা ধরনের খনিজ। এই খনিজগুলি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। নতুন কোষ তৈরিতেও সহায়তা করে। এ ছাড়াও কারিপাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জেল্লাও ফিরিয়ে দিতে পারে।
বর্ষাকালে চুলের সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। মাথায় হাত দিলেই মুঠো মুঠো চুল উঠতে থাকে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কেবল কারিপাতা ব্যবহার করলে হবে না, সঙ্গে নারকেল তেলও মাখতে হবে। চুলের বৃদ্ধিতে নারকেল তেলের কোনও তুলনা হয় না। কারিপাতার সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে নারকেল তেলের গুণ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এখন অল্প বয়সেই অনেকের পাকা চুলের সমস্যা দেখা যায়। পাকা চুলের বৃদ্ধি কমাতেও নারকেল-কারিপাতা তেল দারুণ উপকারী।
কী ভাবে বানাবেন কারিপাতার তেল?
প্রথমে ১ কাপ কারিপাতা ও ১ কাপ নারকেল তেল নিয়ে নিন। কারিপাতাগুলি প্রথমে ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে নারকেল তেল গরম করে নিন। আঁচ যেন খুব ঢিমে থাকে। এ বার কারিপাতাগুলি দিয়ে ১৫ মিনিট ফুটতে দিন। তার পর তেল ঠান্ডা করে কারিপাতাগুলি ছেঁকে নিয়ে তেলটি কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
তেলটি মাথার ত্বকে ভাল করে মাখতে হবে। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মিনিট পাঁচেক আলতো হাতে মালিশ করুন। তার পর আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই তেল মালিশ করলে বর্ষায় চুলের সমস্যা অনেকটাই কমবে।
Comments
Post a Comment